বাত ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

বাত ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

বাত ব্যথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

অস্থি বা হাড়ের পরিবর্তন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটা স্বাভাবিক। অস্থির পরিবর্তনের কারণে ব্যথাও স্বাভাবিক।
যেসব স্থানে ব্যথা হয় তার মধ্যে ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কাঁধ, পায়ের গোড়ালি অন্যতম। ব্যথা কম তীব্র, অস্থায়ী বা কম মেয়াদি অথবা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা ও ধরনের সঙ্গে এর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বা খুবই কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এমন চিকিৎসার প্রতি সবার আগ্রহ। যেসব রোগী তীব্র বা কম তীব্র দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভোগেন অথবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা বৃক্বের রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ব্যথানাশক সেবন ঝুঁকিপূর্ণ বা নিষিদ্ধ।

সুস্থ ও সচল থাকার জন্য এসব রোগীরই চিকিৎসা বেশি জরুরি। ফিজিওথেরাপি শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োগ করতে হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফল পাওয়া যায় দ্রুত এবং তা স্থায়ী হয়।

রোগ নিরূপণ ও ব্যথার ধরন অনুযায়ী বিজ্ঞানসম্মত ফিজিওথেরাপির প্রয়োগ করতে হবে। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ নন এমন কারও কাছ থেকে ফিজিওথেরাপিবিষয়ক পরামর্শ বা চিকিৎসা গ্রহণ করলে ভালো ফল না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

অর্থোপেডিক, হার্ট, কিডনি, চক্ষু, বক্ষব্যাধি, মানসিক প্রভৃতি বিষয়ে চিকিৎসার জন্য দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে তেমনটা নেই। তাই আমাদের দেশের রোগীদের বেসরকারি ফিজিওথেরাপি ক্লিনিকের ওপর নির্ভর করতে হয়।

এক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি, কারণ এখন দেশের আনাচে-কানাচে অনেক অবৈধ ক্লিনিক গজিয়ে উঠেছে যেখানে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব নয়।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *