বায়তুল মোকাররমের সামনে মিছিল, পুলিশের সতর্ক অবস্থান

গেলো ২৮ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। একইদিনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শেষে দুই পক্ষের কোন্দলের মধ্যে পড়ে মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিম নিহত হয়। তার হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, এ দেশের মানুষের আস্থাকে সরকারের ওপর নিশ্চিত করতে হলে দ্রুত রেজাউলের খুনিদের বিচার করতে হবে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ এ দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে। ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। চোর গুন্ডা ও দস্যুদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বজিৎ ও মেধাবী আবরার ফাহাদকেও এই ছাত্রলীগের খুনিরাই হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, আজ আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করছি। এতে যদি আজ সরকারের কানে পানি না ঢোকে, তাহলে কিভাবে পানি ঢোকাতে হয় সেটাও আমরা জানি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আলেমদের ওপর অবিচার করেছে। এ সরকার ইসলামবিদ্বেষী সরকার। অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, দেশের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হলে খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে।

এদিকে জুমার নামাজ শুরুর আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে পুলিশের। পুরানা পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে প্রিজন ভ্যান, রায়ট কার, জলকামানও।

পুলিশের সতর্ক অবস্থান নিয়ে মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত সহকারী কমিশনার রওশন হক সৈকত বলেন, আমাদের কাছে নাশকতার কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *