৮ ফেব্রুয়ারির রায় দেখে কর্মসুচী দেবে বিএনপি
৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন রাজপথে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তার আগেরদিন বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। তবে কোন উস্কানিতে পা দেবে না দলটি। রায় নেতিবাচক হলে কর্মসূচী দেয়া হবে।
গতকাল রবিবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বাকি তিন সদস্যের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং নজরুল ইসলাম খান অসুস্থ এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
একজন সদস্য জানান, বৈঠকে নির্বাহী কমিটির প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রায় নিয়ে কথা হয়েছে। ৮ তারিখে ম্যাডামকে অন্যায়ভাবে কিছু করা হলে ঢাকাসহ সারাদেশে যে যেখানে থাকবে সেখান থেকেই প্রতিবাদ করার জন্য হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করা হবে। আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে। বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এমন সিদ্ধান্তও বৈঠকে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত জেলায় যার যার এলাকায় নেতা-কর্মীরা রাজপথে অবস্থান নেবে। শুধু ৮ ফেব্রুয়ারি নয়, এখন থেকে নিয়মিত মাঠে থাকবো।
বৈঠকে বলা হয়, এই রায়কে কেন্দ্র করে সরকার একটি ইস্যু তৈরি করতে পারে। সেই অজুহাতে বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করবে। সেই সুযোগ দেয়া হবে না। সরকারের কোন উস্কানিতে পা দেবে না বিএনপি। বিএনপির নেতাকর্মীরা ওইদিন আদালত এলাকায় সতর্কভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিবে।
গতকাল রবিবার রাত সোয়া নয়টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চলে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন বেগম জিয়া।
এর আগে শনিবার নির্বাহী কমিটির সভায় নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘অন্যায়ভাবে’ সাজা দেয়া হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। দলের কৌশল চূড়ান্ত করে তা ঘোষণা করা হবে রায় দেখে। নির্বাহী কমিটির সভায় বিএনপির জেলা পর্যায়ের নেতারা চেয়ারপারসনে সাজা হলে স্বেচ্ছা কারাবরণসহ নানা কর্মসূচির প্রস্তাব রাখেন। দাবি তোলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা যেন মাঠে সক্রিয় হন।