হাতীবান্ধায় সাব রেজিস্টারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ লতিফের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় দলিল লেখক সমিতি। তারা গত ১৪-০১-১৮ তারিখে এ প্রসঙ্গে ঢাকা নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা পরিদর্শক বরারবরে অপসারণ চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়ার শুক্রবার সকালে সাব-রেজিস্টার অফিস প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত অফিসারের অপসারণ দাবি করেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হাতীবান্ধা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। তিনি তার বক্তব্যে সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ্ লতিফকে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আখ্যা দিয়ে বলেন, বিগত দিনে অসংখ্য সাব- রেজিস্ট্রার কর্মস্থলে ছিলেন। বর্তমানে কর্মরত অফিসার একটু ব্যতিক্রমী। কাজ কর্মের ক্ষেত্রে তার চেয়ে বয়োজেষ্ঠ ও দীর্ঘদিনের দলিল লেখককে সামান্য ভুলেও অপমান অপদস্ত করতে কুন্ঠাবোধ করেন না। এছাড়াও ২০১৮সালের দলিল লেখক গণের লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে জন প্রতি ২হাজার টাকা করে ঘুষ আদায় করেন। যা এরআগের কোন কর্মকর্তা গ্রহন করার সাহস পায়নি। এলাকার ক্রেতা ও বিক্রেতা সাধারণগনকে সামান্য ভুলের জন্য অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি রেখে আসার জন্য ও ভোগান্তি বাড়ান। অথচ জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর অনলাইনে সার্চ করলে আসল তথ্য পাওয়া যেত। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সাধারণ লোকজনের সঠিক পরিচয় পত্র নির্নয়ের ক্ষেত্রে ভোগান্তি বাড়ানো সঠিক নয়। অথচ তিনি এসব অজুহাতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ান। খোদ্দ বিছনদই, উত্তর ডাউয়াবাড়িসহ কয়েকটি মৌজার নাম উল্লেখ করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ওই সব মৌজা সমূহের দলিল রেজিস্ট্রি করার নিয়ম থাকলেও তিনি তা করছেন না। ফলে একদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে অপরদিকে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব হারাচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হাতীবান্ধা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন, সহ সভাপতি আঃ হানান, সাবেক সম্পাদক, কবির হোসেন ও আবুল কাশেম প্রমুখ।
হাতীবান্ধা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ্ লতিফ জানান, আমার উপর আনিত অভিযোগ সত্য নহে। একটি চক্র আমাকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে।