স্বজনদের আর্তনাদে ভারী ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গণ

কিছুক্ষণ পর পর সাইরেন বাজিয়ে হাসপাতালে ঢুকছে অ্যাম্বুলেন্স। আর সেই শব্দে দৌঁড়ে যাচ্ছেন স্বজনরা । কোনটি থেকে নামানো হচ্ছে নিথর দেহ। লাশ দেখেই স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারী হয়ে গেছে চারপাশ।

রাজধানীর সিদ্দিকবাজার এলাকায় একটি বহুতল ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত অন্তত ৭০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রিকশা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতালের বারান্দায় স্বামী মমিন উদ্দিনের খোঁজে অনবরত বিলাপ করে চলেছেন এক নারী। স্বজনদের কেউ ওই নারীকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই বলে যে তার স্বামী হালকা আঘাত পেয়েছেন। আবার কেউ বলছেন, খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নারী বারবার বলছেন, আমি বিশ্বাস করি না। মমিনকে পাওয়া গেলে আমি একবার দেখতে চাই।

রনি নামে একজন এসেছেন তার ভাইয়ের খোঁজে। তিনি জানান, আমার ভাইয়ের নাম মমিন উদ্দিন সুমন। যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচতলায় আনিকা জিন্স নামে ভাইয়ের একটি দোকান ছিল। দুর্ঘটনার সময় তিনি মার্কেটে ছিলেন। বিস্ফোরণে ভবন তছনছ হওয়ার দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে রনি বলেন, আমার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছি না। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ভাই আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলো- তুই কই? অথচ এখন আমি ভাইকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আপনারা আমার ভাইকে খুঁজে দেন।

হতাহত মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে ঘটনাস্থল। বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের ভেতরে অনেক মানুষ এখনো আহত পড়ে রয়েছেন।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশের ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *