সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির ছাত্রদের সড়ক অবরোধ

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির (বাউস্ট) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেছে। ৫ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচীতে বাউস্ট’র শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশগ্রহন করে ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচী পালন করা হলেও অবরোধের ফলে সৈয়দপুর-পার্বতীপুর রুটে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়াসহ পার্বতীপুর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ামের ডিপো থেকে জ্বালানী তেলের লরি আসতে না পারায় তেল পাম্পগুলোতে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হয়। এ কারণে তেল পাম্প মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
অবরোধের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তাদের শ্লোগানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো- “লাঠি গুলি টিয়ার গ্যাস. জবাব দিবে বাংলাদেশ”, “রাজপথ লাল চলবে আর কতকাল”, “আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই, আমার বোনের ধর্ষণের বিচার চাই”, “ছাত্র সমাজ হারেনি, হেরেছে স্বাধীনত”, “ধর্ষণের বিচার দে, না হলে জীবন দে”, মা-বোনেরা ধর্ষিত, স্বাধীনতা লজ্জিত”, সালাম রফিক হারেনি, হেরে গেছে বাংলাদেশ।
তারা আরও বলে. কয়লা খনির কয়লার বিচার চাইতে আসিনি, ব্যাংকের টাকা লুটের হিসাব চাইতে আসিনি। আমরা এসেছি নিরাপদ সড়কের দাবিতে। আমার ভাই বোন হত্যার বিচার চাইতে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা বলে- আমার ভাই কবরে, খুনিরা কেন বাইরে? আমার ভাইয়ের রক্ত লাল, বিচার হবে কত কাল? আপনার পরিবারের হত্যার বিচার করেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যার বিচার আমরা দেখতে চাই। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বৃথা যেতে দিবনা। ৫২’র পাকিস্তানী হানাদার দেখিনি, ১৮’র জানোয়ার দেখেছি। এদের হাত থেকে বাংলার রাজপথ তথা সড়ক নিরাপদ করবোই করবো।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে আল্পনা এঁকে লিখেছে- “থামুন, রাষ্ট্রের মেরামত কাজ চলছে। যা শিক্ষার্থীসহ পথচারী সকলের দৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *