সিরিয়ায় একযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের হামলা

সিরিয়ার রাসায়নিক হামলার জন্য আসাদ বাহিনীকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার সকালে হোয়াইট হাউস থেকে এই হামলা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে । এরপরই দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় একযোগে হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

এরআগে তিনি এই হামলা শুরুর হুশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমি সশস্ত্র বাহিনীকে সিরিয়ার বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে এই আক্রমণ চলছে।

ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরপরই সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বড় ধরনের বিস্কোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে সিরিয়ায় গত সাত বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত ৭ এপ্রিল বিভিন্ন আন্তর্জতিক সংবাদমাধ্যম সিরিয়ায় উদ্ধার ও চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত কয়েকটি দাতব্য সংস্থার বরাত দিয়ে দৌমায় রাসায়নিক হামলার খবর প্রকাশ করে।

এরপর বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেখানে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানায়, লক্ষণ দেখে বিষয়টি বিষাক্ত রাসায়নিকের হামলা বলেই মনে হয়েছ।

দৌমায় আরও পাঁচশতাধিক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *