সাফল্য ধরে রেখেছে কাউনিয়ার টেপামধুপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়

মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ অদম্য প্রচেষ্টা আর মননশীল শিক্ষায়, সফলতা আবশ্যক বিকশিত প্রতিভায়। নানা প্রতিকুলতার মাঝেও এমনি সাফল্য ধরে রেখেছে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলাধীন টেপামধুপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলা সদর হতে ১০কিঃমিঃ দুরে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে স্থাপিত আর মহাবিদ্যালয় রুপান্তরিত হয় ১৯৯৮ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টির দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা সূনামে সহিত শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত ছাড়াও ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন জাতীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৫৯জন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারে এসএসসি পরিক্ষায় বিদ্যালয়টি থেকে ১১০জন অংশগ্রহন করে ৯০জন উর্ত্তীণ হয়। যারমধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করে ১৬জন। বিদ্যালয়টি থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান আশামনি জানান, সাফল্যের পিছনে শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলীর যথেষ্ট অবদান আছে। তারা আমাদের অনেক টেককেয়ার করেছেন। তাদের টিচিং পদ্ধতি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এছাড়াও বাড়ীতে পড়ালেখা জন্য অভিভাবকদের উৎসাহের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উৎসাহ এই সাফল্য এনে দিতে অবদান রেখেছে। অপরদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল জানান, শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও অভিভাবকদের সহযোগীতায় বিদ্যালয়টি সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর ভর্তি লগ্ন থেকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। দূর্বল শিক্ষার্থীদের আমরা আলাদা পাঠদান করি। তাদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় ও শিক্ষকদের দেখভাল আজকের সফলতার দাবীদার। এব্যপারে টেপামধুপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বুলবুল বলেন, নানা প্রতিকুলতার মাঝেও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরলস পরিশ্রম ও অভিভাবকদের সহযোগীতায় বিদ্যালয়টি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো ভালো ফলাফল করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে রয়েছে শ্রেণী কক্ষের অভাব, নেই লাইব্রেরী ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ব্যবস্থা। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের জন্য একটি প্রজেক্টর থাকলেও যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতূল। তারপরেও কোনো প্রতিকুলতা বাধাঁ হতে পারেনি। তিনি জরুরী ভিত্তিতে একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় মাননীয় সাংসদ টিপু মুনশিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানায়। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন জানান, টেপামধুপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়টি গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ভালো ফলাফল অব্যাহত রেখেছে। এবারো তারা আনুপাতিক হারে ভালো ফলাফল করেছে। তাদের এই ধারাবাহিকতায় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *