সাক্ষরতার হারে বাংলাদেশ এগিয়ে, ইউনেস্কোর প্রশংসা
এক দশকে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে সাক্ষরতার হারের ওপর ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিক্স (ইউআইএস)-এর ২০১৬ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১০ বছরে ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক দশকে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীর মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৭৫ দশমিক ৬২ এবং ৬৯ দশমিক ৯০। এই তথ্যে দেখা যায়, গত ১০ বছরে শিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ সালে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলার মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৯২ দশমিক ২৪ ভাগ। যা ২০০৭ সালে ছিল ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ইউআইএস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতার হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত ৬৯ দশমিক ৩০ ভাগ, নেপাল ৫৯ দশমিক ৬৩ ভাগ, ভুটান ৫৭ দশমিক ০৩ ভাগ ও পাকিস্তানসহ ৫৬ দশমিক ৯৮ ভাগ অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।
ইউনেস্কো শিক্ষাক্ষেত্রে গত ১০ বছরে শতভাগ সাক্ষরতার হার ও শিক্ষায় গুণগত মান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পসহ নীতিমালা প্রণয়ন ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রশংসা করেছে।
ইউআইএস অনুযায়ী, ২০১৬ সালে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে দ্বিগুণ ৪৩৯৯.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করেছে, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৯৯৩.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে ৭ হাজার ৮৮৫ মিলিয়নেরও বেশি (৬৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। সবার জন্য শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন করেছে।
এই লক্ষ্য অর্জন নীতিমালায় শিক্ষার মূল সম্পদ নিশ্চিত করা, শ্রেণিকক্ষ ও পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাইজেশন করা, শিক্ষাক্রম সংস্কার, সৃজনশীল প্রশ্ন চালু, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।