যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব ধরনের সরকারি কার্যক্রম

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে উত্থাপিত সরকারের বাজেট বাড়ানো একটি বিল পাস না হওয়ায় দেশটিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব ধরনের সরকারি কার্যক্রম।
নতুন বাজেটের ব্যাপারে সিনেট একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব ধরনের সরকারি কার্যক্রম।
খবর- বিবিসির।

শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে এ বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সিনেটরদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

শেষ মুহূর্তে দ্বিদলীয় ওই বৈঠকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ৬০ ভোট পড়েনি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের অর্থায়নের বিষয়ে ওই বিলটি উত্থাপন করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৩ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তখন অর্থাভাবে ১৬ দিন সরকারি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স আরও বলেন, তারা রাজনীতিকে সব কিছুর উপরে রাখেছে। তারা জাতীয় নিরাপত্তা, সামরিক ব্যবস্থা, অরক্ষিত শিশু এবং দেশকে তার সব নাগরিকের সেবা করতে সক্ষম রাখার বিষয়গুলোকে অবহেলা করেছে।

অন্যদিকে সিনেটে ডেমক্রেটিক নেতা চাক স্চুমার বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটি মেনে নিতে কংগ্রেসে তার দলকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিল নিয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পক্ষে ২৩০ ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ১৯৭। তবে সিনেটে ওই বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পড়েনি। তাই শনিবার মধ্যরাতের আগে প্রয়োজনীয় অর্থ না পাওয়া গেলে বন্ধ হয়ে যাবে সরকারি অফিসগুলো। এজন্য ডেমক্রেটদের দায়ী করে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা তাদের বেপরোয়া দাবির নিচে বৈধ নাগরিকদের জিম্মি করে রেখেছে।

এদিকে সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় ও জরুরি সেবা কার্যক্রম যথারীতি চলবে। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় নিরাপত্তা, ডাক, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, আবাসিক ও জরুরি মেডিকেল সেবা, দুর্যোগ সহায়তা, কারাগার, করারোপণ ও বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জাতীয় উদ্যানগুলো। ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় এসে ডেমোক্রেটদের কাছ থেকে বড় চাপের মুখে পড়লেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *