মিয়ানমারে কাচিন রাজ্যে সহিংসতায় জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের পর মিয়ানমারে কাচিন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ।

সম্প্রতি ওই প্রদেশে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১০ বেসামরিক মানুষকে হত্যা, বহু হতাহত এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি জানান, তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন যে, কাচিন প্রদেশের চীন সীমান্তে বেসামরিক লোকজনের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বোমাবর্ষণের পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণও করেছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাচীন প্রদেশে যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এখনই তা বন্ধ হওয়া উচিত।

লি আরও বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, অনেকে আহত হয়েছেন এবং অসংখ্য পরিবার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্বন্দ্বের সময় বেসামরিক নাগরিকরা অবশ্যই সহিংসতার সম্মুখীন হবে না। তাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য সব পক্ষকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার জেনেভা থেকে ইউএনবির হাতে আসা বার্তানুসারে, গত মার্চে জেনেভার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে লি জানান যে, রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে সারা বিশ্বের মনোযোগের মধ্যেই কাচিনসহ অন্যান্য অঞ্চলে সহিংসতা বাড়ছিল।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে, গত তিন সপ্তাহে পাঁচ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ চীন সীমান্তের কাছের গ্রামগুলো থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

লি জানান, তিনি এও রিপোর্ট পেয়েছেন যে কাচিনের ম্যানও নামক গ্রামে প্রায় তিন সপ্তাহ কোনো খাদ্যদ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করতে পারেনি মিয়ানমারের রেডক্রস। কোনো প্রকার খাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা প্রদান করে ১০০ জনেরও অধিক বেসামরিক ব্যক্তিকে বন্দি করা হয়েছিল।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *