ভারতে ধূলিঝড় ও বজ্রপাতে নিহত শতাধিক

ভারতের উত্তর-পশ্চিম কয়েকটি রাজ্যে শক্তিশালী ধূলিঝড় ও বজ্রবৃষ্টিতে ১২৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় প্রচণ্ড ঝড় ও বজ্রপাতে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে, গাছপালা উপড়ে যায়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আগামী কয়েক দিন আরও বড় ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিতে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে আগ্রা জেলাতেই ৪৩ জন প্রাণ হারান।

রাজস্থানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ধূলিঝড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও শতাধিক।

এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশে বজ্রঝড়ে ১৪ ও পাঞ্জাবে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

উত্তরপ্রদেশের ত্রাণ কমিশন কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত ২০ বছরে ঝড়ে প্রাণহানির এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা।

রাজস্থানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব হেমন্ত গিরা বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমি এখানে কাজ করছি। এটি আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, গত ১১ এপ্রিল বড় ধরনের ধূলিঝড় হয় এবং এতে ১৯ জন প্রাণ হারান। কিন্তু এবার রাতে ঝড় শুরু হওয়ায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। লোকজন নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে লোকজন চাপা পড়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাজস্থানের বেশিরভাগ জায়গায় গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। এতে জলীয় বাষ্প হালকা হয়ে খুব ওপরে উঠে যায়। হালকা জলীয় বাষ্প ওপরের স্তরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে মেঘ তৈরি হয়। এতে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ধূলির ঝড়।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *