বিচার বিভাগের প্রতি বিএনপির কোনো শ্রদ্ধা ভক্তি নাই – তোফায়েল
‘সরকারের ইঙ্গিতে’ ঢাকার সিটি নির্বাচন স্থগিতে হয়েছে – বিএনপির এমন দাবির প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রতি বিএনপির কোনো শ্রদ্ধা ভক্তি নাই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে এক সেমিনারে বিএনপির উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “রংপুরের নির্বাচনে তারা তৃতীয় হয়েছে, কুমিল্লায় তারা জয় পেয়েও বলছে সুষ্ঠু ভোট হলে আরো বেশি ভোট পেত, নারায়ণগঞ্জে সূক্ষ্ম কারচুপি…।
“এখন ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। আসলে বিচার বিভাগের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা ভক্তি নাই। তখন এস কে সিনহাকে নিয়ে খুব লাখালাফি করেছে বিএনপি।”
ভোটার তালিকা অপ্রকাশিত থাকাসহ কয়েকটি কারণে এক রিটের শুনানি শেষে হাই কোর্ট বুধবার এক আদেশে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে।
ভোটে হার ‘নিশ্চিত জেনে’ সরকারই এটা করেছে বলে হাই কোর্টের আদেশের পর অভিযোগ আনেন বিএনপি নেতারা।
আদালতের আদেশের পরপর এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজ আমরা একটু আগে খবর পেলাম নির্বাচন স্থগিত করা হয়ে গিয়েছে। কী সুন্দর খেলা! সরকার যখন বুঝতে পেরেছে যে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র উপ-নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে, তখন কোর্টে নিজেদের লোক দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।”
উত্তরের নির্বাচন স্থগিতে বিএনপির প্রতিক্রিয়ায় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন,“ আমরা কি হাই কোর্টের সাথে কথা বলেছি, যত্তসব নেগেটিভ কথা তাদের মুখে।
“রায় দিল হাই কোর্ট, আর সুযোগ নিলাম আমরা, এটা কোনো কথা হল। এই কথার কোনো জবাব নেই।”
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বছর পূর্তিতে সরকারের অর্জনের ওপর ওই সেমিনার আয়োজন করে দলের প্রচার উপ কমিটি।
এতে প্রশ্নোত্তর পর্বের জবাব দেন আওয়ামী লীগের প্রচার উপ কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সরকারের অবস্থান কি- এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, “প্রশ্ন ফাঁস বর্তমানে একটা বড় রকমের সমস্যা। কোনো দেশ এগিয়ে যাওয়ার সময় এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এটা সরকারকে যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।
“প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কোচিং সেন্টার একটা সমস্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে অনুসরণ করতে পারে।”
সিপিডি সরকার প্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করছে কেন- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেন, “সিপিডি এখন পলিটিক্যাল ইকোনোমি করছে, তারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের তাবিদারি নিয়ে ব্যস্ত। আসলে যারে দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। ওদের মূল্য দিলে চলবে না, আমাদের নিজেদের মত করে এগিয়ে যেতে হবে।”
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রচার উপ কমিটির সদস্য সচিব হাছান মাহমুদ, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাত।