বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ
সফররত আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ বলেছেন, আইএমএফ বোর্ড আগামী ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
তিনি এক সংবাদ বিবৃতিতে জানান, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে এই কর্মসূচি অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সায়েহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই যা দারিদ্র্য বিমোচনে ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং জীবনযাত্রার মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল রাখতে, ঋণ-জিডিপি অনুপাত কম রাখতে এবং বাহ্যিক সুরক্ষাগুলো পর্যাপ্ত রাখতে সহায়তা করেছে।
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলা করছে। প্রথমে করোনা মহামারি থেকে এবং তারপর ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থেকে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আমি এই কঠিন সময়ে অরক্ষিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশসহ এগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিস্তৃত পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।
সায়েহ বলেন, কর্তৃপক্ষের স্বদেশী সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ এবং আইএমএফ সম্প্রতি বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং আইএমএফের নতুন স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা (আরএসএফ) এর অধীনে একটি প্রাথমিক পর্যায়ে চুক্তিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমাদের আলোচনায় আমরা এই প্রোগ্রামের মূল উপাদানগুলোর ওপর দৃষ্টি দিয়েছি, যার মধ্যে কর রাজস্ব বাড়ানো এবং আরও দক্ষ আর্থিক খাত গড়ে তোলার দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে।
আইএমএফের এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ ও রফতানি বহুমুখীকরণের পদক্ষেপের পাশাপাশি এসব ক্ষেত্রে সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে সহায়তা করবে।
সায়েহ বলেন, তারা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেছেন যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে।
তিনি বলেন, আইএমএফের আরএসএফ বাংলাদেশের জলবায়ু বিনিয়োগের চাহিদা মেটাতে সাশ্রয়ী মূল্যের, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন প্রদান, জলবায়ু অর্থায়নকে উদ্বুদ্ধ করা এবং আমদানি-সমন্বিত জলবায়ু বিনিয়োগ থেকে অর্থ প্রদানের ভারসাম্যের চাপ হ্রাস করার উদ্যোগ নিয়েছে।