পাবনায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘ধর্মের অপব্যবহার নারী প্রগতির অন্তরায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাবনায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘ধর্মের অপব্যবহার নারী প্রগতির অন্তরায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১১টায় পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা প্রদানের মধ্য দিয়ে সমাজে নারীদেরকে গৃহবন্দি করা, নারী নির্যাতন, নারীদের প্রতি অবমাননাসহ নারী মুক্তির পথে সৃষ্ট বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা এবং আদর্শকে তুলে ধরা হয় এ সভায়।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের মুখপাত্র ও সংগঠক এবং দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ্ পন্নী। একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে নারীর ভূমিকা এবং ইসলামে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পাবনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুননাহার রেখা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দেবত্তর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহার আফরোজ জলি, পাবনা জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদিকা তৃষ্ণা রানী চক্রবত্তী, রাজশাহী হেযবুত তওহীদের নেত্রী আফরোজা আক্তার লিপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা হেযবুত তওহীদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূর আছমা মিথিলা।অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হেযবুত তওহীদের মুখপাত্র ও সংগঠক এবং দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ্ পন্নী।

রুফায়দাহ্ পন্নী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সামজের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই নারী। সেই নারী আজ অবলা। তাদেরকে অবলা বানালো কে? আমরা সবাই জানি, পরহেজগার নারীর যে ছবি আমাদের সামনে শত শত বছর ধরে তুলে ধরা হয়েছে সেখানে নারীদেরকে পর্দার অন্তরালে বন্দী না হয়ে উপায় নেই। আমাদেরকে শেখানো হয়েছে, নারীরা থাকবে ঘরে। সেখানে থেকে তারা নামাজ-কালাম পড়বে, কোর’আন পড়বে আর স্বামী সন্তানের দেখাশোনা করবে, আসবাবপত্র পাহারা দেবে। এভাবেই একটি জাতির অর্ধেক জনগোষ্ঠী গৃহবন্দী হয়ে আছে কেবল ধর্মের ফতোয়া আর ভুল ব্যাখ্যার কারণে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না নারীরাও মানুষ। তাদেরও পুরুষের সমান অধিকার আছে নিজেদের যোগ্যতা, মেধা, প্রতিভাকে সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করার। তিনি আরও বলেন, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নারীর যে মেধা আছে, যোগ্যতা আছে সেটাকেই এখন ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম নারীদের বানিয়ে ফেলা হয়েছে অবরোধবাসিনী, অন্তঃপুরিকা, অবগুণ্ঠিতা। এই অপ্রাকৃতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই হয়েছে বিদ্রোহ আর জাগরণ যা একটা পর্যায়ে ধর্মের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু নারীদেরকে তাদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শের ছায়াতলে নারীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে; এগিয়ে আসতে হবে দেশ ও জাতির কল্যাণে।
সভায় স্থানীয় নারী নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ নারীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে। এ সময় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সভাস্থল। সবশেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। এ সময় আগত অতিথিরা হেযবুত তওহীদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে মানবতার কল্যাণে হেযবুত তওহীদের কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *