নেই ব্যবসা আমদানি করা ছবি তবু পাচ্ছে মুক্তি
গত ১৯ জানুয়ারি ভারতীয় বাংলা ছবি ‘জিও পাগলা’ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে । আজ ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’ পাবে মুক্তি। দুটি ছবিই ভারত থেকে আমদানি করা। গত সপ্তাহে ‘জিও পাগলা’ দর্শক টানতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে—এমনটাই জানিয়েছেন দেশের কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহের কর্মকর্তা। তবে এরপরও আমাদানি করা ছবিগুলো চলছেই। কারণ, পরপর দুই সপ্তাহে মানসম্পন্ন নতুন দেশি ছবি নেই। তাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরও হলের মালিকদের নির্ভর করতে হচ্ছে ওই আমদানি করা ছবিতেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমদানি করা ভারতীয় বাংলা ছবিগুলো দেশি ছবির মতো দর্শক টানতে পারছে না। সর্বশেষ জিও পাগলা নিয়ে রাজধানীর বলাকা প্রেক্ষাগৃহের সহব্যবস্থাপক আকতার হোসেন জানান, গত সাত দিনে তাঁদের কোনো প্রদর্শনীই ‘হাউসফুল’ হয়নি। দর্শকের আনাগোনা ছিল খুবই কম। একই রকম তথ্য দিয়েছেন রাজধানীর মধুমিতা হলের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম। বললেন, আশপাশের আরও দুটি প্রেক্ষাগৃহে একই ছবি চলেছে। দর্শক যা একটু ছিল, তাও ভাগ হয়ে গেছে।
তবে যশোরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহের পরিচালক জিয়াউল ইসলাম বললেন, মোটামুটি চলেছে জিও পাগলা। মুক্তির পরপরই ছবিটি ইউটিউবে ফাঁস না হলে হয়তো আরও কিছু দর্শক পাওয়া যেত।
আজ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে কলকাতার ইন্সপেক্টর নটি কে। ছবির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়া ও কলকাতার জিৎ। অশোক পতি পরিচালিত এই ছবি শুরুতে যৌথ প্রযোজনা নীতিমালার অধীনে নির্মিত হলেও সেটা বাতিল করে এখন এটি মুক্তি পাচ্ছে আমদানি করা ছবি হিসেবে। পরপর দুই সপ্তাহে কলকাতার চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়া প্রসঙ্গে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘জিও পাগলা নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আশা পূরণ হয়নি। নতুন কোনো দেশি ছবিও তো মুক্তি পাচ্ছে না। প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখা যাবে না। তাই বিনিময়ের ছবির ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।’