দেরিতে ঘুমনোর অভ্যাস এর প্রতিকার

রাতের ঘুম সারাদিনের কর্মব্যস্ত দিনশেষে এনে দেয় প্রশান্তি। একটি পরিপূর্ণ রাতের ঘুম জোগায় পরবর্তী দিনের কর্মস্পৃহা। কিন্তু বর্তমান সময়ের প্রায় প্রতিটি মানুষের একটি বড় সমস্যা হলো ঘুম না হওয়া বা সঠিক সময়ে ঘুমাতে না পারা। আর এ সমস্যার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যার। তাই কর্মব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। যেমন—

১. প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। এতে নিয়মিত ঘুমের অভ্যাস গড়ে উঠবে। ঠিক একইভাবে সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো।

২. ঘুমানোর সময় ঘর পুরোপুরি অন্ধকার রাখা ভালো। এতে মস্তিষ্কে আলোক সংবেদনশীলতা না থাকায় তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে।

৩. অনিদ্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ খাদ্যাভ্যাস। সন্ধ্যের আগে ভারী খাবার সেরে ফেলা উচিত। চা কিংবা কফিতে ক্যাফেইন থাকায় তা দুপুরের পর অবশ্যই পরিহার করা উচিত।

৪. শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম কিংবা নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম হয়। এতে করে ক্লান্ত শরীরে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি।

এছাড়া শোবার ঘর সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এতে শরীর ও মন থাকবে সতেজ। রাতে ঘুমের আগে মোবাইল বা টেলিভিশন দেখার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কারণ এসব থেকে অনিদ্রা সৃষ্টি হতে পারে। সর্বোপরি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। অনিদ্রা দূরীকরণে প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *