জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ৭ বছরের কারাদন্ড
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে পৃথক দুটি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড হলো। এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে ৫ বছরের সাজা দেয় একই আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এছাড়াও তাদেরকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরো ছয়মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এ নিয়ে পৃথক দুটি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড হলো। এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তাকে ৫ বছরের সাজা দেয় একই আদালত।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে অপর দুই আসামি মুন্না ও মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। হারিছ চৌধুরী বিচারের শুরু থেকেই পলাতক। এর বাইরে খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য ছিলো। তবে তা নির্ভর করছিলো আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের উপর। কারাবন্দি আসামির অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচার চলবে-আদালতের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ওই আপিলের ওপর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। সেখানে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকায় আজ রায় ঘোষণা করতে কোনো আইনি বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান চ্যারিটেবল মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করে দেন।