গুটিয়ে রাখা যাবে টেলিভিশন র্যাপিং পেপারের মতো
![গুটিয়ে রাখা যাবে টেলিভিশন র্যাপিং পেপারের মতো](https://bdp.newsposttv.com/wp-content/uploads/2018/01/গুটিয়ে-রাখা-যাবে-টেলিভিশন-র্যাপিং-পেপারের-মতো-300x166.jpg)
গুটিয়ে রাখা যাবে টেলিভিশন র্যাপিং পেপারের মতো
মানুষের রুচির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজে মনোনিবেশ করছে পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। একটা সময় মানুষ টেলিভিশন বলতে চার কোনা বাক্সের ক্যাথোড রে টিউব (সিআরটি) প্রযুক্তির টেলিভিশনকেই বুঝতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নে আজকাল মানুষ এলসিডি এবং এলইডি টিভির প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
তবে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য আরো বড় সুখবর নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানি লাকি গোল্ডমার্ক (এলজি)। প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি টেলিভিশন তৈরি করেছে যেটির স্ক্রিন গুটিয়ে রাখা যাবে। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১৮ ইঞ্চি স্ক্রিনের ফোল্ডিং টেলিভিশনের নমুনা দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার লাস ভেগাসে কনজুমার ইলেকট্রনিক্সের বিশ্ব প্রদর্শনীতে ৬৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের টেলিভিশনটি প্রদর্শন করেছে এলজি।
এলজির তৈরি ৬৫ ইঞ্চির এই বিশেষ টেলিভিশনটির স্ক্রিন ফোর-কে মানের। এইচডি-র চেয়েও চারগুণ উন্নত ফোর-কে স্ক্রিন। গত বছর লাস ভেগাসের কনজুমার ইলেকট্রনিক্সের প্রদর্শনীতে দেখানো ১৮ ইঞ্চি টেলিভিশনটির স্ক্রিন ছিল হাই-ডেফিনিশন (এইচডি) মানের। এলজি আগে এলসিডি এবং এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিভিশন তৈরি করলেও এখন থেকে তারা ও-এলইডি প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে।
ও-এলইডি হচ্ছে অর্গানিক এলইডি। যাতে ছবি হবে আরো ঝকঝকে আর প্রাণবন্ত। ফোরকে ও-এলইডি স্কিনটি দেখতে অনেকটাই গতানুগতিক এলইডি টেলিভিশনের মতোই। কিন্তু এর বিশেষ বৈশিষ্ট, রিমোর্টের বোতাম টিপলেই এই স্ক্রিন অনায়াসে গুটিয়ে যাবে। একইভাবে নির্দেশ দিলে গুটিয়ে থাকা টেলিভিশন স্ক্রিন বের হয়ে পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশনের রূপ নেবে। আরো মজার বিষয় হলো টেলিভিশন চলাকালে স্ক্রিনের অর্ধেক বা যে কোন পরিমাণ অংশ গুটিয়ে রাখা যাবে।
বিশেষ এই টেলিভিশনের আরো একটি বিশেষ সুবিধা হলো, টেলিভিশনে দেখানো যে কোন বস্তুর থেকে শব্দ হলে সেটি স্ক্রিনে দেখানো বস্তু যেখানে থাকবে সেখান থেকেই আসবে। যেমন কেউ কথা বলতে থাকলে তার মুখ স্ক্রিনের যেখানে থাকবে সেখান থেকে শব্দ আসবে, গাড়ির সংঘর্ষ হলে স্ক্রিনের যেখানে সংঘর্ষ হবে সেখান থেকে শব্দ আসবে। কোন পাখির শব্দ হলে পাখিটি স্ক্রিনের যে জায়গায় থাকবে সেখান থেকে আসবে শব্দ যা কিনা দর্শকের দর্শন অনুভূতির সাথে শ্রবণ অনুভূতির চমত্কার সমন্বয় ঘটাবে।
এই প্রযুক্তির সুবিধা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গবেষণা দলের একজন বলেন, যারা বড় স্ক্রিনে টেলিভিশন দেখতে পছন্দ করেন কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা সঙ্কট রয়েছে তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি বিকল্প। টেলিভিশন দেখা হয়ে গেলে অল্প জায়গার মধ্যেই গুটিয়ে রাখা যাবে পুরো টেলিভিশন।