খালেদা জিয়ার শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় হত্যা, বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতা ও নড়াইলে মানহানি মামলায় জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও মো. বশির উল্লাহ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা যুগান্তরকে জানান, নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা দুটি এবং মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় ২০ মে জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন করেন।

এর মধ্যে বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জামিন আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনে শুনানি শেষ হয়। এরপর রোববার অপর দুটি আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

রোববার শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব আপিল বিভাগের একটি রায়ের (৬৮ ডিএলআর) নজির তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জামিনযোগ্য ধারার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কোনো আসামি জামিন না চাইলেও আদালত জামিন দিতে পারেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি জামিনযোগ্য অপরাধ। অতএব খালেদা জিয়া জামিন পেতে পারেন। খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, নড়াইলের মানহানি মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের শুনানি হয়েছে কিন্তু আদালত আদেশ দেননি। নথিভুক্ত করে রেখেছেন। এখানে বিচারিক আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, নিম্ন আদালত থেকে যত আদেশ-নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলো খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত ছিল।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৮ ফেব্র“য়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই দিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় করাগারে রয়েছেন তিনি। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। ১৭ মে এ আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *