খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের রায় ঘোষণা

দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর রায় ঘোষণা দিন আজ।

গতকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য থাকলেও রায় ঘোষিত হয়নি। রায় ঘোষণার পূর্বে অসমাপ্ত বক্তব্য রাখার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে আবেদন জানান। আদালত বক্তব্য রাখার আবেদন মঞ্জুর করায় রায় ঘোষণা একদিন পিছিয়ে যায়। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করবেন। আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে দুটি আপিল রায়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে।

গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতি এজলাসে আসেন। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, গত ৯ মে হট্টগোলের কারণে বক্তব্য শেষ করতে পারিনি। আরো শুনানি করতে চাই। কাল (বুধবার) রায়ের জন্য রাখুন। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, যা বলার এখনই বলুন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখনই শুনানির জন্য আমি প্রস্তুত নই। রায় ঘোষণার জন্য থাকলেও তো অনেক মামলায় অধিকতর শুনানির সুযোগ দিয়ে থাকেন আপনারা। প্রধান বিচারপতি বলেন, বেঞ্চের একজন বিচারপতি কাল থাকতে পারবেন না। আজই শুনানি করতে হবে আপনাকে। এরপরই বেলা ১২টায় অসমাপ্ত বক্তব্য রাখার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে সময় বেধে দেন প্রধান বিচারপতি।

বেলা ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে নাজমুল হুদা, মোহাম্মদ নাসিম, ইকবাল হাসান টুকুর বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় আপিল বিভাগের রায়ের নজির তুলে ধরে বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে জীবনহানির আশঙ্কা নেই এবং মেডিক্যাল বোর্ডের যথাযথ মতামত না থাকে তাহলে শুধুমাত্র অসুস্থতার যুক্তিতে কাউকে জামিন দেওয়া ঠিক নয়। এসব মামলায় তাদের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডের যথাযথ মতামত ছিল। সকলেই গুরুতর অসুস্থ ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলায় মেডিক্যাল বোর্ডের কোনো রিপোর্ট নেই। অসুস্থতার বিষয়ে খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরা হয়েছে।

জবাবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল যেসব মামলার নজির তুলে ধরেছেন এর সবকটিই জরুরি অবস্থা জারির পর করা হয়। জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অসুস্থতার যুক্তিতে হাইকোর্ট ওইসব মামলায় আসামিদের জামিন দেয়। আপিল বিভাগ এসব জামিনে কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। শুধু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কেননা এসব মামলার উদাহরণ টেনেছি আমরা। আজ অ্যাটর্নি জেনারেল বিস্তৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *