খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিনের আদেশ বহাল

কুমিল্লার মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিনের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বুধবার এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

গত সোমবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন।

এর বিরুদ্ধে আবেদনের পর মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। আদালতে খালেদার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে জামিন পান খালেদা জিয়া।

হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল হাইকোর্টে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।

নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও বাস পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা দুটি মামলায় গত ২৮ মে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন।

এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি ওই জামিন স্থগিত করে আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

৩১ মে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে ২৪ জুনের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।

২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও আশপাশের বেশ কিছু যান ভাঙচুরের ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।

একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আট যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলাটি করে পুলিশ।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *