কোটি টাকার নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ির জায়গা নেবে যে গাড়িগুলো

কোটি টাকার নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ির জায়গা নেবে যে গাড়িগুলো

কোটি টাকার নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ির জায়গা নেবে যে গাড়িগুলো

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: স্মার্ট গাড়ি ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে। কিন্তু গবেষকরা এমন গাড়ি তৈরীর কাজে হাত দিয়েছেন যা আসলেই একটু বেশি স্মার্ট। এগুলোকে বলা হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের গাড়ি’। অর্থাত্ বর্তমানের কোটি টাকার নামিদামি ব্রান্ডের গাড়ির জায়গা নেবে এগুলো।

কৌতুহল জাগতে পারে গাড়িগুলো কেমন স্মার্ট? গবেষকরা জানিয়েছেন, এগুলো ড্রাইভার ছাড়া তো চলতে পারবেই। আর ড্রাইভার যদি নিজেও গাড়ি চালান তার উপর সারাক্ষণ নজর রাখবে। তিনি যদি কোনো ভুল করতে যান তবে মুহুর্তেই তার হাত থেকে স্টিয়ারিং এর দায়িত্ব নিয়ে বিপদ সামলে তারপর আবার তার হাতে সেটি ছেড়ে দেবে। দূর পাল্লার ভ্রমণে গাড়ি চালানোর সময় চালকের চোখে ঘুমের ভাব দেখলে তাকে পেছনের সিটে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দেবে। এই সময়টাতে সে নিজেই চালিয়ে যাবে। পথে মজার কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলে তা রেকর্ড করে নিজেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করে দেবে।

গতিসীমা নিয়ে কখনো চিন্তা করতে হবে না। রাস্তায় যদি কোথাও সাইনবোর্ড দেখে ‘সর্বোচ্চ গতিসীমা এত কিলোমিটার’ তবে মুহুর্তেই ঠিক সেই স্তরে গতি নামিয়ে আনবে। চলতে চলতে স্যাটেলাইট সার্চ করে রাস্তার খোঁজখবরও নিয়ে নেবে। কোন রাস্তা ক্লিয়ার আছে, কোন রাস্তায় জ্যাম আছে তার খোঁজ নিয়ে বিকল্প রাস্তায় ঢুকবে।

এটা তো গেল রাস্তার কথা। গন্তব্যে পৌছানোর পর গাড়ির মালিক ও চালকদের আরেকটি সমস্যায় পড়তে হয়। তা হলো পার্কিং। অনেক সময় পার্কিংয়ের জায়গা আগেই দখল হয়ে যায়। কিংবা সামান্য জায়গা ফাঁকা থাকলেও সেখানে হয়তো গাড়ি রাখা কঠিন। কিন্তু কিছু কিছু স্মার্ট গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে তারা এমন গাড়ি তৈরী করবে যা পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও স্মার্ট। অর্থাত্ চালক গন্তব্যে পৌছানোর পর গাড়ি থেকে নেমে গেলেই চলবে। গাড়ি নিজেই পার্কিং স্পট খুঁজে নিয়ে নিজেকে পার্ক করবে। একটি পার্কিং স্পটে জায়গা না পেলে সে ওই শহরের ম্যাপ থেকে খুঁজে বের করবে কাছাকাছি আর পাকির্ং স্পট কোথায় আছে। সে সেখানে গিয়েই পার্ক করবে। গাড়ির মালিক কাজ শেষ করে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়ালেই গাড়িটি তা বুঝে ফেলবে। সঙ্গে সঙ্গে ওই পার্কিং স্পট থেকে ছুটে এসে মালিকের সামনে দাঁড়াবে।

অন্যদিকে জাগুয়ার, অডির মতো কিছু কোম্পানির আগ্রহ সায়েন্স ফিকশন মুভির মতো গাড়ি উদ্ভাবন করতে। এগুলোতে ভাসমান পর্দায় সামনের এবং পেছনের দৃশ্য দেখা যাবে। ফলে গাড়ির দুই পাশে গতানুগতিক যে আয়না লাগানো থাকে তার আর দরকার পড়বে না।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *