কারাগারে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, সুচিকিৎসা হচ্ছে না – মির্জা ফখরুল

কারাগারে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং সুচিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সোমবার স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা এসে বলেছেন, গত এক সপ্তাহ যাবত গুরুত্বর অসুস্থ। জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন তিনি। খালেদা জিয়ার বাম হাত ও বাম পায়ে আগে যে ব্যথা ছিল,তা আরও বেড়েছে। প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। তার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে।

মহাসচিব বলেন,অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি তার শারিরীক অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। আগের চেয়ে বেশ খারাপ। এই ধরনের জাতীয় নেতার চিকিৎসায় সরকারের অবহেলা মেনে নেয়ে যায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী? কেন তারা তার সুচিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না। সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করেছে। তারই পরিপ্রেেিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। কিন্তু তিনি কোনও কর্ণপাত করছে না। কোন হীনমন্যতা কারণে তার চিকিৎসা দিচ্ছে না,আমরা জানি না।

খালেদা জিয়া কারাগারে সুচিকিৎসা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন,তাকে আমরা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি করেছি। আমরা আবারও বলছি, তাকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক।

এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসক নেতা ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা গতকাল সন্ধা ৭টা ১৫ মিনিটে দেখা করে আমাকে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছেন। ম্যাডাম গত ৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন রাতে জ্বর আসছে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। ডান চোখ অনেক লাল হয়ে গেছে, ফুলে গেছে। ঘাড়ের ব্যাথা বাম হাতের তালু পর্যন্ত নেমে এসেছে। হাত দিয়ে শক্ত কিছু ধরলে ঝিনঝিন করে। কোমরের পেইন পায়ে নেমে এসেছে। কারো সহযোগিতা ছাড়া উনি ব্যক্তিগত কাজকর্ম করতে পারছেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার দুজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.সিরাজুল উদ্দিন আহমেদ এবং ডা.আব্দুল কুদ্দুস তার স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *