কাবুলের বিলাসবহুল হোটেলে জঙ্গি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিলাসবহুল ‘দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল’ হোটেলে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে তালেবান ও আফগান স্পেশাল ফোর্সের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলে। এদের মধ্যে নিহত হন বিদেশিরাও।
শনিবার রাত নয়টার দিকে ওই হোটেলে হোটেলের রান্নাঘর দিয়ে ভবনে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায় বন্দুকধারীরা। গ্রেনেড বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক পর্যায়ে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে হোটেলের ছাদে গিয়ে নামেন। তাদের অভিযানে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়। এছাড়া সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলটি রাষ্ট্রায়ত্ব হোটেল। এতে বিয়ে, কনফারেন্স আর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিন করা হয়ে থাকে। ২০১১ সালেও তালেবান হামলার লক্ষ্য হয় হোটেলটি। সে সময় নয় আক্রমণকারীসহ ২১ জন নিহত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে কাবুলের হোটেলগুলোর বিষয়ে সতর্কতা জারির একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার মার্কিন দূতাবাসের জারি করা ওই সতর্কতায় কাবুলের আরেকটি হোটেলের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কাবুলের হোটেলগুলোতে হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি।
এরপরই ওই হামলা চালানো হয়। এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতও হয়েছে বেশ কয়েকজন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ওয়াহিদ মেজরহ বলেন,সিটি হাসপাতালে ১৯ জনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জন বিদেশি নাগরিক।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছেন যে তাদের ছয়জন এই হামলায় নিহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৩০ এরও বেশি। নিহতের মধ্যে হোটেলকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিদেশি অতিথিরা আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিশ বলেন, হামলাকারী ৫ জনকেই হত্যা করা হয়েছে।