কাউনিয়ায় বিনম্রশ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হলো মহান ২১ ফেব্রুয়ারী
কাউনিয়া প্রতিনিধি,রংপুর : ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাঙ্গালী জাতীর ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তÍদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন। ১৯৫২ সালের (৮ ফাল্গুন’১৩৫৯) এই দিনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলি বর্ষণে শহীদ হন বরকত, জব্বার, সালাম, রফিকসহ কয়েকজন যুবক। যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাষ্ট্রে মাতৃভাষার জন্য আত্মদান অদ্বিতীয়। যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা রক্তদিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হয়ে আসছে।
তদুপলক্ষ্যে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে বিন¤্র শ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হলো মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে প্রথম প্রহরে রাত ১২.০১ মিনিটে কাউনিয়া মোফাজ্জল হোসেন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়স্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূষ্পস্তবক অর্পনের মধ্যদিয়ে কর্মসুচীর শুভসুচনা ঘটে। জাতীর শ্রেষ্ঠসন্তান ভাষা শহীদদের বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকসহ অনেকে। পরে ভাষা শহীদের আত্মার মাগফেরাতসহ দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে নিরবতা এবং দোয়া করা হয়।
দিবসের দ্বিতীয় প্রহরে সকালে একটি প্রভাতফেরী’র র্যালী উপজেলা চত্বর থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুরুজ্জামান, কাউনিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মূসা আহম্মদ, মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ কাজল মাহমুদ, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক দিলদার আলী প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকার সূধীবৃন্দ। মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচীতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আরো ছিল কবিতা আবৃতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা।
পরে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসুচীর সমাপ্তি ঘটে।