কলকাতায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬

কলকাতার মুর্শিদাবাদে যাত্রীবাহী বাস বিলের পানিতে পড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এখনও সবাইকে উদ্ধার করা যায়নি। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসটি এখনও পুরোপুরি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাতের বেলা উদ্ধার কাজ কঠিন হওয়ায় আশঙ্কায় ঝুঁকি নেননি উদ্ধারকারীরা। ওই অবস্থাতেই বাস থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে যাত্রীদের মরদেহ।

পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে করিমপুর থেকে একটি বাস মালদহ যাচ্ছিল। সকাল ৭টার দিকে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের বালিরঘাট সেতুর উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে রেলিং ভেঙে পানিতে পড়ে যায় বাসটি। বাসটি ৭০ ফুট গভীর বিলের তলদেশে পলির মধ্যে আটকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ১০ জনকে উদ্ধার করেন। তবে উদ্ধারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধা মারা যান। সে সময় তিন জনের লাশও উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ক্রেন দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করা হয় বাসটিকে। তবে তা সম্ভব হয়নি। তবে ঝুলন্ত সেই বাস থেকেই উদ্ধার হয় আরও ৩২ জনের মরদেহ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র-সহ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ, গুরুতর আহতদের ১ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই কোনও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। সে সময় তারা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন । উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *