আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বন্ধ করা উচিত – ট্রেভর বেলিস

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বন্ধ করা উচিত - ট্রেভর বেলিস

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বন্ধ করা উচিত – ট্রেভর বেলিস

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল ‘টি-টোয়েন্টি দিবস’। ২০০৫ সালের এই দিনেই গোঁফ-টোফ লাগিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেই টি-টোয়েন্টি এখন কতটা গুরুত্ব পায়, সেটা বোঝা গেছে কাল। একসঙ্গে তিন মহাদেশে তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হলো। এর মাঝে সবচেয়ে দুর্দান্ত ম্যাচটি হয়েছে তাসমান সাগরের পাশে। নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ২ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এমন জয়ের পরও দলের কোচের দাবি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বন্ধ করা উচিত!

ট্রেভর বেলিসের কথা শুনে ক্ষণিক উত্তেজনা বলে ভুল হতে পারত। নিউজিল্যান্ডকে হারালেও ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠা হয়নি ইংল্যান্ডের। কিন্তু বেলিসের চিন্তা সিরিজের ফাইনাল নিয়ে নয়, ‘আমি আগের মতো বদলাইনি। আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে চাই না। আমি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই এ খেলার দায়িত্ব দিতে চাই। আমরা যদি এত বেশি ম্যাচ খেলা চালিয়ে যাই, তবে অনেকের ক্যারিয়ার সময়ের আগে শেষ হয়ে যাবে। শুধু খেলোয়াড় নয়, কোচদেরও।’

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া এই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে এমনিতেই সমালোচনার কমতি নেই। অ্যাশেজের পর দীর্ঘ এক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। দীর্ঘ সেই সিরিজ খেলে ক্লান্ত ইংল্যান্ড, এর মাঝেই দুই দেশে আয়োজিত এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু আইসিসি তো এমন প্রস্তাবে রাজি হবে না। ‘সোনার ডিম’ পাড়া এই হাসকে যে পেলে-পুষে বড় করছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মাঝে তো দুই বছর পর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হয়েছে। বেলিস অবশ্য দুই পক্ষকেই খুশি করার মতো এক প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘প্রতি চার বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইলে টুর্নামেন্টের ছয় মাস আগে কিছু ম্যাচ খেলতে দিতে পারে।’

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্যবহৃত এ নিয়ম কিন্তু আসলেই ভেবে দেখতে পারে আইসিসি। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলো তো ফুটবলের অনুকরণেই চলছে।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *