দু বছরে বেড়েছে শিশু হত্যা ও ধর্ষণ – শিশু অধিকার ফোরাম

শিশুহত্যা ২৮ শতাংশ এবং ধর্ষণ বেড়েছে ৩৩ ভাগ। গত দুই বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ তথ্য দিয়েছে শিশু অধিকার ফোরাম। বিচারহীনতা ও মামলার দীর্ঘসূত্রতাকে এর কারণ বলছে সংগঠনটি। আর পরিস্থিতির উন্নয়নে শিশু আইন কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।

বছরে শেষে নৃশংসভাবে আদাবরে নির্যাতনের শিকার ১২ বছরের গৃহকর্মী আল আমিন। পরে মৃত্যৃ হয় তার। শুধু আল আমিন নয়, দুই হাজার সতেরজুড়েই ছিলো এমন নির্মম কিছু ঘটনা।

শিশু অধিকার ফোরামের প্রতিবেদনও বলছে, ২০১৬র তুলনায় ১৭তে শিশু হত্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ, ধর্ষণ বেছে ৩৩ শতাংশ। সহিংসতা ও নির্যাতনের হার বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।

শিশু অধিকার পরিস্থিতি ২০১৭ অনুযায়ী সহিংসতার শিকার ৩৮৪৫ শিশু, অপমৃত্যু ১৮.৬৭ ভাগ, যৌন নির্যাতন ৩০.৩২ ভাগ, নির্যাতনের হার ৭.১৩ ভাগ বেড়েছে।

পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণ হিসেবে বিচারহীনতা, মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও প্রভাবশালীদের সালিশে আপস-মীমাংসাকে দায়ী করছে শিশু অধিকার ফোরাম। পরিস্থিতি মোকাবিলায় করা হয়েছে বেশকিছু সুপারিশ।

মানবাধিকার কমিশন বলছে, শুধু বরাদ্দ নয়, শিশু নির্যাতন বন্ধে দরকার কার্যকর পরিকল্পনা ও তদারকি ব্যবস্থাল। পাশাপাশি, আলাদা একটি কমিশন গঠনের তাগিদ দিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিশু আইন ২০১৩-এর সঠিক প্রয়োগ ও পুরোপুরি বাস্তবায়নও চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন ও শিশু অধিকার ফোরাম।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *