ফুলবাড়ীতে ধর্মব্যবসায়ী দ্বারা হেযবুত তওহীদ সদস্যের বাসায় ভাঙচুর ও মারধোর
স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় হেযবুত তওহীদ সদস্যের বাসায় ভাঙচুর ও মারধর করেছে এক শ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ী উন্মাদনা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চরবড়লই এলাকার আজিম উদ্দিনের বাসায়।
জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে চড়বড়লই মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি করিম উদ্দিন একই এলাকার আজিম উদ্দিন এর ছেলে হেযবুত তওহীদ সদস্য মোঃ ইশা গনিকে কৌশলে মসজিদে ডেকে নিয়ে অত্র মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে কয়েকজন উগ্রপন্থী ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা হেযবুত তওহীদের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আল্টিমেটাম দিয়ে বেদম মারপিট করে ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। পরে আবারো মসজিদের ইমাম নুরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে তারা সংঘবদ্ধভাবে আজিম উদ্দিনের বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ইসা গনির বড় ভাই হেযবুত তওহীদ সদস্য ওসমান গনিকেও মারধর করে এবং তার মা উমিনা বেগমকে লাঞ্ছিত করে। ইশা গনির বাসায় থাকা একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তিনদিনের মধ্যে অত্র এলাকার হেযবুত তওহীদের সদস্যদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ধর্মব্যবসায়ী উগ্রপন্থীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
স্থানীয় গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে ঘিরে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
হেযবুত তওহীদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বড়বিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খয়বার আলী জানান, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম আজিম উদ্দিন এর দুই ছেলের ওপর অত্র মসজিদের ইমামসহ কিছু মুসল্লী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মারধর করেছে। আমি তিন দিনের মধ্যে দু’পক্ষকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সমাধানের তাগিদ দিয়েছি।