পঞ্চগড়ে খাবার খেয়ে একই পরিবারের ১৩জন অচেতন

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে খাবার খেয়ে একই পরিবারের পুরুষ-নারী ও কোলের শিশুসহ ১৩জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা চেতনানাশক মিশানো খাবার বা পানি খেয়েই তারা একসাথে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তবে কি করে তারা অচেতন হলেন তা বলতে পারছে না পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হোলাসুজোত এলাকার পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার আনুমানিক বাড়ির তৈরি ভাত, তরকারি, পানি ও চা খাওয়ার পর থেকেই বাড়ির একি পরিবারের সদস্যদের পর্যায়ক্রমে মাথা ঘুরানো, ঝিমুনি তারপরেই অচেতন হতে থাকে। একে একে ওই পরিবারের কোলের শিশুসহ ১৩ জন সদস্য অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১০ টায় ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাদের খাবারে চেতনানাশক মিশানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন। তবে একই পরিবারের ওই ১৩ সদস্য বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন জানিয়েছে সদর হাসপাতালের ডা. মোসারফ হোসেন। তাদের বর্তমানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অচেতন ওই ১৩ জন হলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের হোলাসুজোত এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫), তার পরিবারের সদস্য আইনুল ইসলাম (২৮), ফেরদৌস (১৮), আঞ্জুমান আক্তার (১৫), শিমুলি আক্তার (২০), অনিমা আক্তার (৬), অরণ্য (৫), রাসেল (১০), অয়ন (৭), মনির হোসেন (২২), ময়না আক্তার (৫০) ও আসিয়া খাতুন (২৫) ও কোলের শিশু আদিব (৮মাস)।
ঘটনার পর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে ওই অচেতন পরিবারের সদস্যদের দেখতে যান। এ সময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দেন।
উল্লেখ্য, একই ভাবে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর নয়াবড়ী গ্রামে পাথর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি পানির ট্যাংকে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে চুরি হয়।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *